করোনা ভাইরাসে কাঁপছে সারাবিশ্ব। বাংলাদেশের মানুষ ও এখন ঘরবন্দি । দিনমজুর, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, দর্জি, গৃহশিক্ষক, কিন্ডারগার্টেনের শিক্ষক ইত্যাদি পেশার মানুষেরা পড়ছেন বিপাকে। ফুরিয়ে এসেছে ঘরের খাবার।
করোনা ভাইরাসের এই পরিস্থিতি মোকাবেলায় দেশের নিম্ন আয়ের পরিবারের মানুষের মধ্যে মানবিক সহায়তা দিচ্ছে ওয়াসাক ফাউন্ডেশন । ওয়াসাক ফাউন্ডেশন এর চেয়ারম্যান ডাক্তার সেলিনা বেগমের সরাসরি তত্ত্বাবধানে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ওয়াসাক ফাউন্ডেশন গত মার্চ মাসে ২০ টি পরিবারকে খাদ্য ও এপ্রিল মাসে ৬০ টি পরিবারে খাদ্য ও ৫০ টি পরিবারে নগদ টাকা বিতরন করেছে । যাদের বেশীরভাগ বৃহত্তর মিরপুরে বসবাস করে। এই খাদ্য ও টাকা বিতরণ করা হয় ওয়াসাক অফিস ও বিকাশের মাধ্যমে। খাবারের প্যাকেটে রয়েছে চাল ২৫ কেজি, মসুর ডাল ২ কেজি , তেল ২ লিটার , পিঁয়াজ ২ কেজি, আলু ৫ কেজি,১ কেজি করে ছোলা, চিনি, চিড়া, লবণ ও ডিম, সাবান ইত্যাদি ।
এছাড়া ও অনলাইন জরুরী চিকিৎসা সেবা ও টেলিচিকিৎসার মাধ্যমে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারগণ দ্বারা অনলাইনে জরুরী চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে। উক্ত সেবায় মানসিক ডাক্তারসহ সব ধরনের বিশেষজ্ঞ ডাক্তারগণ জরুরী চিকিৎসা দিয়ে থাকেন। এই সময় আল-রাজি হাসপাতালে একজনের এপিন্ডিসাইডিস অপারেশনের সম্পূর্ণ খরচ ওয়াসাক ফাউন্ডেশন বহন করে ।
ওয়াসাক ফাউন্ডেশন এর চেয়ারম্যান ডাক্তার সেলিনা বেগম বলেন, “আল্লাহতায়ালা আমাদেরকে এই পরিস্থিতি থেকে হেফাজত করুন, তবে যতদিন এই করোনা ভাইরাসের প্রকোপ থাকবে ততদিন আমাদের এই কর্মসূচি রাখতে হবে ইনশাআল্লাহ।“
প্রতি বছরের মত রহমতের মাস রমজান উপলক্ষে আমাদের নতুন কর্মসূচিতে রয়েছে ইফতার ও ঈদ খাদ্য বিতরন। ইফতারে রয়েছে চাল , মূসুর ডাল, তেল, পিঁয়াজ, আলু, ছোলা, চিনি, চিড়া, লবণ, ডিম ,সাবান ইত্যাদি। ঈদ খাদ্যে পোলাউয়ের চাল, সেমাই, চিনি, দুধ, ডিম, মুরগি ইত্যাদি থাকবে ইনশাআল্লাহ ।