সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে কাউন্সিলিং ও মোটিভেশনঃ
সমাজ ও ব্যক্তি বিশেষে নারীর মর্যাদা, অধিকার ও কর্তব্য বিষয়ে সচেতনতা তৈরির মাধ্যমে গঠনের প্রয়াসে নিয়মিত মাসিক সেমিনার, আলোচনা, সভার আয়োজন করে। এছাড়াও নারীদের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান ও তাদের কল্যাণমূলক কাজে উদ্বুদ্ধ করে বিভিন্ন সামাজিক দায়িত্ব পালনে অভ্যস্তকরণে নিম্নোক্ত বিষয়ে কাউন্সিলিং ও মোটিভেশন দেয়া হয়।
১। শারিরিক সমস্যার সমাধানঃ তার সদস্য বৃন্দ শিক্ষক কর্মীসহ সমাজের সর্বস্তরের নারীদের শারিরিক সমস্যা সমাধানে সচেতনতা সৃষ্টিতে বরাবরই বিশেষ ভূমিকা রেখে আসছে।
শিক্ষিত সচেতন নারীদের জন্য শারিরিক পরিচর্যা এর পাশা পাশি দুঃস্থ নারীদের চিকিৎসা সেবায় বিশেষজ্ঞ ডাক্তাদের পরামর্শ প্রদান ও বিনামুল্যে ঔষধ প্রদান করে থাকে। এছাড়া এলাকার কিশোরীদের বয়ঃসন্ধি কালীন পুষ্টি শারিরিক সচেতনতা ও পরামর্শ এবং বয়স্ক নারীদের শারিরীক নানা সমস্যার সমাধানে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়ে থাকে।
২। মানসিক সমস্যা সমাধানঃ প্রত্যেক মানুষই জীবনের কোন না কোন সময় মানসিক সমস্যায় পড়তে পারেন। বিশেষ করে আমাদের সামাজিক প্রেক্ষাপটে মেয়েরা বেশি মানসিক সমস্যায় আক্রান্ত হয়। এই সব নারীদের দেয়ার জন্য তাদের শারিরীক মানসিক পারিবারিক ও সামাজিক অবস্থান ইত্যাদি বিবেচনা করে দিয়ে তাদের কর্মউদ্দীপ্ত করে তোলে।
৩। দায়িত্ব পালনে সচেতন করাঃ ওয়াসাকের চাওয়া নারীর সম্মান ও মর্যাদাবোধের চেতনা তার
পরিবার থেকে প্রথম শুরু হোক যা পরবর্তীতে সামাজিক গন্ডি পেরিয়ে রাষ্ট্রীয় ও আর্ন্তজাতিক ক্ষেত্র ও আইনে পরিপূর্ণতা আনবে। ফলে পরিবার ও সমাজের প্রতি দায়িত্ব পালনে প্রত্যেককে তার অবস্থান উদ্বুদ্ধ করা ওয়াসাকের একটি কাজ। ওয়াসাক দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে যে প্রতিটি মানুষ সচেতন ভাবে স্ব স্ব ক্ষেত্র থেকে তার প্রতি অর্পিত কতর্ব্য পালন করার মাধ্যমে তার সাথে সম্পৃক্ত জনের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে এবং অন্যেরাও তাকে তার অধিকার ফিরিয়ে দিবে।
৪। পারিবারিক কলহের সমাধানঃ বিভিন্ন পারিবারিক সমস্যাগুলো চিহিৃত করনের মাধ্যমে এবং ব্যক্তি বিশেষে প্রয়োজনের আলোকে মাহিলাদের উপকারী দিয়ে থাকে। যেমন- পারিবারিক সম্পর্ক উত্তরাধিকার আইন ও উদ্ভুত যে কোন সমস্যাবলী দক্ষতার সাথে মোকাবেলার সঠিক পদ্ধতি সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ন পরামর্শ প্রদান করে থাকে।
৫। সামাজিক সমস্যার সমাধানঃ নারী ও শিশু নিয়ে কাজ করে বিধায় এই নারীদের যে কোন সামাজিক সমস্যা যেমন- বিয়ে দেনমোহন, যৌতুক প্রথা তালাক ইত্যাদি বিষয়গুলো ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী সঠিক ও সমায়োপযোগী সিদ্ধান্ত বা পরামর্শ প্রদান করাকে সংস্থার নৈতিক দায়িত্ব বলে মনে করে।
৬। অর্থনৈতিক সমস্যা সমাধান ঃ আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের লক্ষ্যে মহিলাদের কর্মসংস্থানের জন্য সহযোগীতার কাজ করে থাকে। সংস্থায় সমাজের যে সকল নারী অর্থনৈতিক ভাবে সামলম্বী হতে চায় তাদের দেয়া হয় এবং প্রয়োজনানুযায়ী আর্থিক সহযোগীতাও করা হয়। যেমন- স্বল্পকালীন ঋণ এককালীন অর্থায়ন, প্রশিক্ষণ, মেশিনোরীজ প্রদান ইত্যাদি। এছাড়াও প্রতিটি নারীর আর্থিক সাবলম্বীতার প্রয়োজনীয়তা কি কেন হওয়া উচিত এই বিষয় গুলোতেও কাউন্সিলিং এর পাশাপাশি মোটিভেশন দেয়া হয়ে থাকে।
এছাড়াও অন্যান্য যে কোন বিষয়ে যেমন চাকুরি, দাম্পত্য জীবন, সন্তান লালন পালনে যে কোন সমস্যায় ঈড়ঁহংবষরহম এর ব্যবস্থা আছে।